২০১১ সালের ২১ শে ফেব্রম্নয়ারী বেলা ৩ ঘটিকায় বাসা থেকে বের হলাম ২১ শে ফেব্রম্নয়ারী উদযাপনের অনুষ্টান দেখার এবং শরিক হবার প্রত্যাশায়। ষ্টেপনী গ্রীণ থেকে ব্রিক লেইন অনুমান দুই কিলোমিটার। ব্রিক লেইনের প্রানত্দ সীমায় আলতাব আলী পার্কের অবস্থান। আমি আগে-ভাগে বের হবার কারন হল, আমি দেশ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ১০ ফেব্রম্নয়ারী সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে সুদুর যুক্ত রাজ্যে গিয়েছি। একদিকে আলতাব আলী পার্ক পূর্ণাঙ্গ ঘুরে ফিরে দেখা এবং অপর দিকে নূতন স্থান ,পরিবেশ ,সঙ্গী-সাথী খুজে অনুযাত্রী হওয়া। দুই দিন পূর্বে স্বল্প দুরত্ব থেকে আমার ভাগনা পার্কের অবস্থান সম্পর্কে অবহিত করেছে। কিন্তু সময়াভাবে উপস্থিত হতে পারিনি ঐ দিন। এদিকে ভাগিনার ফাইনেল পরিৰা থাকায় সঙ্গে নিতে মন সায় দেয়নি। যদি ও আরেক দিন ঐ রাসত্দায় চলেছি কিছুৰণ। সে দেশে আমি যাবার পর থেকেই দেখছি ,মেঘলা আকাশ অথবা সঙ্গে বৃষ্টি বা কুয়াশাচচন্ন প্রায়ই থাকে। বাসা থেকে বের হয়েই দেখলাম গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলে ও তাতে অসুবিধা হবে না। বেনজনসন রোড় ধরে পথচারী হয়ে কিছু দুর এগিয়ে পেলাম হোয়াইট চ্যাপেল বড় রোড়। কার্ড় মেরে বাসের যাত্রী না হয়ে অনেক বড় ফুটপাত দিয়ে এগিয়ে চললাম পারিপাশ্বর্িক অবস্থা দেখে দেখে। অপূর্ব সুন্দর দৃশ্য সম্বলিত ঝকঝকে পরিস্কার-পরিচছন্ন ফুটপাত হৃদয়ে জাগে সুখানুভুতি। পথচারীর সংখ্যা ফুটপাতের তুলনায় অত্যনত্দ কম থাকায় স্বাচছন্দ বোধ অধিক। রাসত্দা দিয়ে চলছে গাড়ী সাঁ সাঁ রবে এবং ফুটপাত দিয়ে পথচারী। কোথা ও নেই দখল বাণিজ্য পথচারীর চলায় বিঘ্ন ঘটার বিন্দু সম্ভাবনা। আমি চলার বিপরীত ফুটপাতের এক নির্দিষ্ট এলাকায় রয়েছে হাট। যেখানে অধিকাংশ বাঙ্গালীর (বাংলাদেশী) দোকান,ক্রেতা বিক্রেতা ও বেশী পরিমাণে বাঙ্গালী (বাংলাদেশী)। আঁধ ঘন্টার মত পথ চলে ফুটপাত সংলগ্ন বেশ বড় একটি খোলা জায়গা নিম্নাংশ ইটের দেয়াল ও উর্ধাংশ ষ্টীলের বেষ্টনী সমেত পেয়ে ভিতরে লৰ্য করতেই চোখে পড়ল এক কোনে শহীদ মিনার। মিনারের সামনে ৪ জন লোক আল্পনা আঁকাতে ব্যসত্দ। অনুমিত হল আমার অভিষ্ট লৰ্যে পৌছার সত্দানে এসে গেছি। এদিকে যদি ও বাংলাদেশে ঠান্ডার জন্য পরিধেয় বস্ত্রের চেয়ে অধিক বস্ত্র পরিধান করেছি। তথাপি শীত অনুভুত হচেছ একটু বেশী পরিমাণে। বিদেশ বিভুইয়ে শহীদ মিনার দেখে গর্বে স্পীত হচিছলাম। বাংলাদেশের আদলে নির্মিত শহীদ মিনার এবং আল্পনা দেখে দেশকে মনে পড়ছিল বার বার। প্রবাসে গেলে দেশপ্রেম জাগ্রত হয় অধিক প্রত্যেক প্রবাসীর হৃদয় কুঞ্জবনে। বাংলাদেশের পতাকা স্মরণ করে দেয় দেশাত্ববোধ প্রবলভাবে। আমি সৌদি আরবে প্রবাস কালীন ও দেশপ্রেম দেখেছি বাংলাদেশীর আচার-আচরনে প্রচন্ড। কিন্তু এ সকল প্রবাসীকে দেশ থাকতে দেশ প্রেমের এত গভীরতা দেখিনি। মনে জেগেছিল আনন্দের জোয়ার। শিল্পী গণ আল্পনা আকঁছেন। কিন্তু বৃষ্টি অসুবিধা সৃষ্টি করাতে পলিথিন দিয়ে ঢেকে ঢেকে এগুতে হচেছ। দশ/বারো গজ দুরে দাড়িয়ে একটি সিগারেট ধরালাম একজন অপরিচিত বাংলাদেশীর কাছ ঘেষে। দু'জন পুরম্নষ ও এক জন মহিলা শিল্পী নিখুত ভাবে আল্পনা আকাঁয় মত্ত রয়েছেন মনের মাধুরী মিশিয়ে। সত্দানটি নিরব, নিথর। আমার পরিচিত কাউকে না পেয়ে বডড খারাপ লাগছিল। তবে মনকে শানত্দনা দিচিছলাম আমার আগমন যেহেতু অনেক পূর্বে। এ সময় প্রচন্ড শীতে কেহই আসার কথা নয়,আসবে ও না। এমনতর ভাবনার সময় আমার হাত থেকে সিগারেট পড়ে গিয়েছে কখন টেরই পাই নাই। খেয়াল করতেই মনে হল আমার মাথা ধরার ভাব এবং হাত পা যেন অচেতন হয়ে আসছে। কি করি ,কোথায় যাব ভাবতে লাগলাম। সময় যত গড়াচেছ, সারা শরীর অবশ হয়ে আসছে ধীরে ধীরে । বুঝতে পারলাম শীত আমাকে কাবু করে ফেলবে। খুজতে লাগলাম বিকল্প পথ তার থেকে বাচাঁর। মনে পড়ল কিছুদুর রয়েছে ইষ্ট লন্ডন মসজিদ। মসজিদের আশ্রয় ব্যতীত আমি নিরম্নপায়। যত সম্ভব দ্রম্নত চললাম মসজিদের দিকে হেটে। মসজিদে ঢুকে প্রায় ঘন্টা খানেক বসে শরীর সতেজ করে বাসায় ফিরে আসলাম। শারিরিক ভাবে আমি হলাম অৰম ঐ দিনের অনুষ্টান দেখা,অংশ গ্রহন থেকে বঞ্চিত। পরবর্তী যে ক'দিন থাকার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। কখন ও এমন ভুল করতে আর সুযোগ দেইনি। ছিলাম সদা সতর্ক। মসজিদের আশ্রয় না নিলে শীতের হাত থেকে রৰা পাওয়া ছিল অত্যনত্দ কঠিন ঐদিন। এমন কি জীবন বিপন্ন হবার সমুহ সম্ভাবনা। জেনেছি সেখানকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে পরে। আমার জীবন খাতার পাতায় যখনই স্মৃতির রীল সচলতায় আসে,দিনটির কথা ,তখনই আমাকে ভাবায়,নিয়ে যায় অতীতের স্মৃতির আঙ্গিনায়। জীবনের মধ্য গগণে এসে পড়েছি এমনতর পরিবেশ.পরিস্থির সম্মুখ হইনি কখন ও। শীতের কবল থেকে সকলেই পরিত্রান পাবে এ কামনা মহান আলস্নাহ্র দরবারে কায়মন বাক্যে জানাই প্রতি নিয়ত বিনয়াবনত চিত্তে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিজানুর রহমান রানা
আমার জীবন খাতার পাতায় যখনই স্মৃতির রীল সচলতায় আসে,দিনটির কথা ,তখনই আমাকে ভাবায়,নিয়ে যায় অতীতের স্মৃতির আঙ্গিনায়। জীবনের মধ্য গগণে এসে পড়েছি এমনতর পরিবেশ.পরিস্থির সম্মুখ হইনি কখন ও। শীতের কবল থেকে সকলেই পরিত্রান পাবে এ কামনা মহান আলস্নাহ্র দরবারে কায়মন বাক্যে জানাই প্রতি নিয়ত বিনয়াবনত চিত্তে।------------কাহিনীটা ভালই লাগলো--------
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।